I have been studying for an exam for a while now, and I came across this term yesterday. It stuck in my head for a bit, not just because its a little weird( this exam needs me to specifically read up weird words), nor because I have never heard it before. In fact, it was precisely the opposite. I had heard it before, I just couldn't remember where. I remembered its meaning yesterday night. It wasnt a thesauraus that got me there though. It was Facebook.
Don't worry, Facebook is yet to become an online dictionary. What rang a bell was a picture of a semi-nude man, seemingly being torn up by a metal hook inserted into his throat, and then being hanged from the same hook. Pardon me for that not-so-nice language, but that's what I saw. That's when I remembered what Ochlocracy means. It means rule of the mob.
There have been several incidents happening around me over the last few days, all of which have left me deeply disturbed. The gang-rape of a woman on a bus in Delhi, the assault on secondary school teachers in atleast 6 locations in and around Kolkata over 3 days, and the hue and cry that is rising all around it. What is the common denominator across the board seems to be a general sense of amazement. Beyond the anger and the outrage and the public dismay at how something like these can happen to every single one of us (trust me, it can. Did you check that door, now?), what people are failing to grasp is, how can something like this happen? How can there be such a concerted breakdown of law and order across the board, from city to city, state to state, crime to crime. How can they act with such impugnity? The answer is simple, as are answers to all apparently baffling questions. It is because they are the law.
Make no mistakes, I dont mean that the students who slap their teacher, or the drivers who assault and rape their travellers, imagine themselves to be well connected. They simply imagine themselves to be faceless. And when they are faceless, they are the mob. And our nation today, is ruled not by the parliament, not by the judiciary, not by the police, but by the mob. And in this little detail, trust me, the people in the candle light vigil and the rapists are no different. and you know it already.
Before being outraged by this piece and slandering me, listen me out.
Consider yourself. Do you mind going on this candlelight vigil that is happening in Central Kolkata this Saturday? I don't think you will say No. Do you mind taking a candle and standing on Garer Math today evening? Assume there is no vigil planned and you are not allowed to bring anybody else. Forget about the effect of the collective and all- it's about your personal decision. Will you? I dont think so. Its not fear, not yet, that is stopping you. It is just a little rumbling feeling, this discomfort in your belly- what if someone sees me and pokes fun, what if its a little dangerous, you know, with the pickpockets and all? what if I end up ridiculing myself?
Let's say what I just said is wrong- you would actually go to garer math today. As you have realised by now, with a strong enough impetus, you actually can go. It is like in a Dare. Now lets take it a step further.
When you are returning from Garer math, you see a cab parked in a dark corner and a muffled scream coming out. You might like to call the police, but they might be too late, and you don have anyone around, remember? Do you accost the people inside? what is its just a couple having some fun on the sly? What if they are goons with guns? Feel the questions swarming in? Exactly my point. That's what i call ochlocracy.
What allowed the criminals to brutalise whoever they wanted to was this feeling of being in a mob, staying faceless, as if being faceless somehow saves them from being exposed, from being held accountable. The same is true for us. When the women lie bleeding on the streets, the people who look on impassively are iundividuals. Only when Facebook and NDTV and a weeping Jaya Bacchan and minute by minute updates galvanise them, they become a mob. They can tear up the perpetrators, donate their blood if it helps the woman, stay on candlelight vigils every night for weeks. But single them out, and you see a frightened soul, looking at you, furtively, trying to cower away into the shadows, Because away from the glare of the media eagerly interviewing us and Facebook that lets us quantify our feelings in Shares and Likes, we all know who holds the real power today. It is the mob. And outside the mob, we are nobody.
Atleast most of us.
And then another individual is singled out, and we go back to being the Mob.
Somehow it reminds me of The Incredible Hulk.
Wednesday, December 19, 2012
Monday, June 4, 2012
গল্পটা
বিশাল হল ঘরটা প্রায় ফাঁকা। সারি দিয়ে রাখা অনেকগুলো বিছানা, তাতে লোহার রেলিঙ দেওয়া, আর পাশে স্যালাইনের বোতল টাঙ্গাবার স্ট্যান্ড- কিন্তু ঘরে রোগী প্রায় নেই বললেই চলে। হাসপাতালের ঘর আর রাত্তির বেলা বলেই বোধহয় আলো নামমাত্র, শুধু গোটা দুয়েক CFL ল্যাম্প একটা সবজে সাদা আলো ছড়িয়ে দিয়েছে ঘরটাতে। সেই আলোরই কিছুটা এসে পড়েছে বৃদ্ধ মানুষটার মুখে। সে মুখে মৃত্যু যে ছায়া ফেলেছে, আধো অন্ধকারেও সেটা বেশ বোঝা যায়। তাঁর ঠোঁট দুটি কিন্তু থেমে নেই- সেখান থেকেই ঘরের একমাত্র আওয়াজটা বেরিয়ে আসছে।
" বুঝলে তো, গল্পটা আমি পড়েছিলাম অনেক ছোটবেলা-এ। এই দশ-বার বছর বয়েস হবে, তখন কোন এক পুজা বার্ষিকীতে পরেছিলাম, বলতে পার তার পর থেকেই লেখক হওয়ার ভূত চেপেছিল মাথা-এ। স্কুল থেকে কলেজ, সেই ভূত আর নামেনি মাথা থেকে।
বোধহয় ভাবছ আমি বেশ একজন নামজাদা লেখক, একটা আত্মজীবনী গোছের কিছু বলতে বসেছি, তাই না? উঁহু, সে গুড়ে বালি, আমি একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক, সারা জীবন ওই করেই কাটালাম। লেখার ভূত মাথায় চাপলেও, হয়ে ওঠেনি আর কি। তাছাড়া লেখক হতে গেলে কীসব ট্যালেন্ট, আর ইয়ে, অধ্যবসায় লাগে বলে শুনেছি-সে সব কোনদিন-ই খুব একটা..."
কথা বলতে গিয়ে হাপিয়ে উঠছিলেন বৃদ্ধ, তাই কয়েক সেকনডের জন্য চুপ করলেন তিনি। ডিউটি নার্স অনিতা এতক্ষণ পাথরের মতন বসে ছিলেন রোগির শিয়রে, এইবার তাঁর ধ্যান ভঙ্গ হল- চকিতে একবার তাকিয়ে নিলেন বৃদ্ধের মুখের দিকে। নাহ, চোখদুটি খোলা; মানুষটা আছে এখনো।
"গল্পটা হল এক সাংবাদিক-কে নিয়ে। মফঃস্বল-এর নানা শহরে ছুটোছুটি করে খবরের মালমসলা সংগ্রহ করাই তার কাজ। ভাবছ বুঝি এইবার একটা ডাকাত কিংবা ভুতুড়ে কুঠি এনে ফেলব, তাই না? উঁহু, ঘটনা যেটা ঘটেছিল তা ভুতুড়ে কিনা জানিনে, কিন্তু মাঝ রাত্তিরের হাড় কাপান ব্যাপার সেটাকে বলা চলে না। ইন ফ্যাক্ট, ঘটনাটা ঘটেছিল ভর দুপুরে।
সুশান্ত না সুকান্ত, কি যেন নাম সেই সাংবাদিকের- যাক, ধরো তার নাম সুকান্ত। এক গ্রীষ্মের দিনে সে একটা বাসে উঠেছে, পুরুলিয়া-র কাছে কোন একটা গ্রামে একটা ডাকাতির খোঁজে যাবে বলে। একে বৈশাখ মাসের গরম, তার ওপর বাসের মধ্যে সূর্য যেন আগুন ঢালছে। কিন্তু বাসে উঠেই সুকান্তর মনটা বেশ ভাল হয়ে গেল। বাসের একেবারে শেষ সিটে একটা পুরনো চামড়া মোড়া কালো রঙের ডাইরি পড়ে আছে, যেন তারই জন্যে কেউ ওটাকে রেখে গেছে ওখানে। এমনিতে, সুকান্ত এমন পড়ে থাকা জিনিস ছুঁয়েও দেখে না- কিন্তু আজ কি মনে হোল, সে ডাইরি -টা তুলে পাতা ওলটাতে শুরু করল।
পরিষ্কার মুক্তোর মতন হাতের লেখায় হিন্দিতে লেখা ডাইরি সেটা- আদতে ছোটদের গল্প সেগুলো। এই ক্লাস ৫-৬ এর বাচ্চারা যেমন পড়ে, ধরো সেরকম। পাতা উল্টাতে- উল্টাতে বেশ অবাক-ই হয়েছিল সুকান্ত- এতো যত্ন করে দামী একটা ডাইরি -তে লেখা, হলই নয় সেটা ছোটদের গল্প, কিন্তু সেটা কি করে এমন অনাদরে পড়ে থাকে বাসের মধ্যে?"
বৃদ্ধের কথা শুনে মনে হয় যেন তিনি কোন এক অতি আপনজনকে শোনাচ্ছেন গল্পটা। অনিতা নিজের মনেই একটু হাসলেন- মুমূর্ষু মানুষকে সঙ্গ দানের অভিজ্ঞতা তাঁর আজকের না। কিন্তু এই মানুষটা বেশ অন্যরকম, ওঁর কথা গুলোতে কোথাও মৃত্যুপথযাত্রীর অসংলগ্নতা নেই। শুনতে মন্দ লাগছিল না- গল্প বলার অভ্যেশ-টা যেন তাঁর সহজাত।
"সুকান্ত বাঙ্গালীর ছেলে হলেও হিন্দি-টা সে ভালই জানে- আসলে সাংবাদিক হতে গেলে অনেক কিছু শিখতে হয়, বুঝলে না? তা সেই ডাইরি- টা পড়ে ফেলতে তার বেশিক্ষন লাগল না। কিন্তু তাকে থমকে যেতে হল একেবারে শেষের পাতা-এ গিয়ে। ডাইরিটার এটাই শেষ পাতা, কিন্তু এই পাতার হতাক্ষর মোটেই মুক্তোর মত নয়- ছোটদের গলপ-ও নয় এটা। সংক্ষেপে বললে সেটার মানে দাঁড়ায় এইরকম- মানুষের জীবন আসলে একটা উপলক্ষ বৈ আর কিছু না। এত যে হাজারো চিন্তা ভর করে আসে আমাদের মনে, তাদের-কে রূপদান, জীবন দান-ই আমাদের ধর্ম। যদি সেগুলোকে পাত্তা না দাও, তবে মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে যাবে তারা- আর যদি জোর করে চেপে ধরে তাদেরকে বুঝতে চাও, তাহলে সেগুলো কয়েক টুকরো বাস্তব হয়েই পড়ে থাকবে। তবে যদি চিন্তা আর কল্পনা মিশিয়ে গল্প লিখতে পার, তবেই তাদের আসল কদর হয়। এই গল্প রচনাই মানুষের জীবনের আসল কৃতিত্ব। গল্প লেখা হয়ে গেলে সাহিত্যিকের জীবনের আর কোন মানে থাকে না- তার নবজীবন সেই গল্পের মধ্যে।
লেখাটা পড়ে সুকান্ত বেশ খানিকক্ষণ চুপ করে বসে থাকলো। বাস তখন প্রায় তার গন্তব্যস্থলে এসে গেছে। নামবার জন্য তৈরি হয়েও সে আর নামল না। তার মনে ততক্ষণে একটা আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে- পুরুলিয়ার গ্রামে ডাকাতির তদন্ত আজ আর তাকে দিয়ে হবে না। তাকে এখুনি কলকাতা ফিরতে হবে।
এর দিন দুয়েক পরের ঘটনা। সুকান্ত অফিসের অরিন দত্ত-কে লাঞ্চ-এর সময় বলছিল গল্পটা- অরিনদার চেনা আছে কয়েকটা পত্রিকার অফিস -এ। এর মধ্যেই ডাইরি-টা নিয়ে কয়েক পাতা লিখে ফেলেছে সে- গল্পটা যদি কোন ভাবে ছেপে বের হয়, তবে মন্দ হয় না। অরিন-দাও খুব খুশি হয়েছিলেন গল্প-টা শুনে। সব কিছুই ঠিক ঠাক ছিল, কিন্তু বাদ সাধল ভাগ্য- সেইদিন বিকেলে বাড়ি ফিরবার পথেই একটা বাসে চাপা পরল সুকান্ত।
অফিসের সবাই ভালবাসত তাকে; হাসিখুশি স্বভাবের ছেলে সুকান্ত- সকলেই বাস্তবিক শোকাহত হয়েছিল তার মৃত্যুতে। অরিন দত্ত-র কিন্তু হঠাৎ মনে হল, যদি কোন ভাবে সুকান্তর গল্পটা ছাপা যায়- তাহলে মানুষের মধ্যে তার একটা অংশ নবজীবন লাভ করবে। কোথাও না কোথাও সৃষ্টির মধ্যে বেচে থাকবে স্রষ্টা।
আর কদিন পরেই দুর্গাপূজা। পূজাবার্ষিকীতে ছোটদের গল্প অংশে একটা গল্প ছেপে বের করে ফেলা কোন ব্যাপার নয় তার কাছে। অরিন দত্ত কথাটা ভুল ভাবেনি- তার পরিচিতির জোর সে বিলক্ষন জানতো। তবে পঞ্চমীর দিনে হাওড়া থেকে ছাড়া বোম্বে মেলের দুটো কামরা যে বেলাইন হয়ে যাবে, তা বোধহয় সে জানত না। নইলে কি আর সে ওই কামরা-র টিকেট কাটে?"
অনেকক্ষণ একটানা কথা বলে চুপ করলেন বৃদ্ধ। নার্স হিসেবে অনিতার অভিজ্ঞতা প্রচুর, কিন্তু আজ এই প্রায়ন্ধকার হাসপাতালের ঘরে বসে কথাগুলো শুনতে গিয়ে তাঁর ও যেন শিরদারা বেয়ে একটা হিমেল অনুভুতি নেমে গেল। কোনরকমে মনের ভাব চেপে তিনি আলতো করে বললেন- "তা বেশ গল্প বলেন তো আপনি! একটু লিখতে পারেন তো?"
খানিকক্ষণ বৃদ্ধ কোন কথা বললেন না, তারপর জরিয়ে আসা গলা-এ উত্তর এল,"তা কেমন করে হয় নার্স, আমার যে জীবনে কত কিছু করার আছে। সেসব না সেরে কি আর নবজীবন লাভ করা যায়?"
তারপরে আরও অনেকক্ষণ কেটে গেচ্ছে। ডক্টর মিত্র রাউনডে এসে দেখলেন বৃদ্ধর চোখ দুটো বোজা, হৃদপিণ্ডের গতি স্তব্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে। বেডের পাশে টেবিলে রাখা একটা টেপ রেকর্ডার তুলে নিলেন ডক্টর মিত্র। এটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছেলেদের দেওয়া, যারা ওনাকে নিয়ে এসেছিলো। রাস্তার মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পরেছিলেন উনি, আশেপাশের কেউ চেনেও না ওনাকে। তাই অন্তত একটা আত্মপরিচয় যদি রেকর্ড করা সম্ভব হয়, সেই জন্যই যন্ত্রটা।
ডাক্তার মিত্র সব-ই শুনেছিলেন অনিতার কাছে, শুনে বেশ অবাকই হয়েছিলেন। আর তখনি অনিতাকে বলেছিলেন, টেপ রেকর্ডার-টা উনি নিজের কাছেই আপাতত রাখতে চান। মুমূর্ষু মানুষের মুখে এই জাতীয় কোন কথা শোনার অভিজ্ঞতা তাঁর-ও এই প্রথম। এছাড়া আরও একটা কারণ আছে, সেটা উনি অনিতা-কে বলেননি।
আসলে মেডিকেল কলেজে পরবার সময় থেকেই তিনি লিখতে ভালবাসেন, কিন্তু প্রায়শই কাজের চাপে সেটা আর হয়ে ওঠে না। আজ গল্পটা শোনার পর থেকেই ডাক্তারবাবুর মনে হচ্ছে, দেখাই যাক না একবার চেষ্টা করে। এমন একটা প্লট কি আর বারবার পাওয়া যায়?
" বুঝলে তো, গল্পটা আমি পড়েছিলাম অনেক ছোটবেলা-এ। এই দশ-বার বছর বয়েস হবে, তখন কোন এক পুজা বার্ষিকীতে পরেছিলাম, বলতে পার তার পর থেকেই লেখক হওয়ার ভূত চেপেছিল মাথা-এ। স্কুল থেকে কলেজ, সেই ভূত আর নামেনি মাথা থেকে।
বোধহয় ভাবছ আমি বেশ একজন নামজাদা লেখক, একটা আত্মজীবনী গোছের কিছু বলতে বসেছি, তাই না? উঁহু, সে গুড়ে বালি, আমি একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক, সারা জীবন ওই করেই কাটালাম। লেখার ভূত মাথায় চাপলেও, হয়ে ওঠেনি আর কি। তাছাড়া লেখক হতে গেলে কীসব ট্যালেন্ট, আর ইয়ে, অধ্যবসায় লাগে বলে শুনেছি-সে সব কোনদিন-ই খুব একটা..."
কথা বলতে গিয়ে হাপিয়ে উঠছিলেন বৃদ্ধ, তাই কয়েক সেকনডের জন্য চুপ করলেন তিনি। ডিউটি নার্স অনিতা এতক্ষণ পাথরের মতন বসে ছিলেন রোগির শিয়রে, এইবার তাঁর ধ্যান ভঙ্গ হল- চকিতে একবার তাকিয়ে নিলেন বৃদ্ধের মুখের দিকে। নাহ, চোখদুটি খোলা; মানুষটা আছে এখনো।
"গল্পটা হল এক সাংবাদিক-কে নিয়ে। মফঃস্বল-এর নানা শহরে ছুটোছুটি করে খবরের মালমসলা সংগ্রহ করাই তার কাজ। ভাবছ বুঝি এইবার একটা ডাকাত কিংবা ভুতুড়ে কুঠি এনে ফেলব, তাই না? উঁহু, ঘটনা যেটা ঘটেছিল তা ভুতুড়ে কিনা জানিনে, কিন্তু মাঝ রাত্তিরের হাড় কাপান ব্যাপার সেটাকে বলা চলে না। ইন ফ্যাক্ট, ঘটনাটা ঘটেছিল ভর দুপুরে।
সুশান্ত না সুকান্ত, কি যেন নাম সেই সাংবাদিকের- যাক, ধরো তার নাম সুকান্ত। এক গ্রীষ্মের দিনে সে একটা বাসে উঠেছে, পুরুলিয়া-র কাছে কোন একটা গ্রামে একটা ডাকাতির খোঁজে যাবে বলে। একে বৈশাখ মাসের গরম, তার ওপর বাসের মধ্যে সূর্য যেন আগুন ঢালছে। কিন্তু বাসে উঠেই সুকান্তর মনটা বেশ ভাল হয়ে গেল। বাসের একেবারে শেষ সিটে একটা পুরনো চামড়া মোড়া কালো রঙের ডাইরি পড়ে আছে, যেন তারই জন্যে কেউ ওটাকে রেখে গেছে ওখানে। এমনিতে, সুকান্ত এমন পড়ে থাকা জিনিস ছুঁয়েও দেখে না- কিন্তু আজ কি মনে হোল, সে ডাইরি -টা তুলে পাতা ওলটাতে শুরু করল।
পরিষ্কার মুক্তোর মতন হাতের লেখায় হিন্দিতে লেখা ডাইরি সেটা- আদতে ছোটদের গল্প সেগুলো। এই ক্লাস ৫-৬ এর বাচ্চারা যেমন পড়ে, ধরো সেরকম। পাতা উল্টাতে- উল্টাতে বেশ অবাক-ই হয়েছিল সুকান্ত- এতো যত্ন করে দামী একটা ডাইরি -তে লেখা, হলই নয় সেটা ছোটদের গল্প, কিন্তু সেটা কি করে এমন অনাদরে পড়ে থাকে বাসের মধ্যে?"
বৃদ্ধের কথা শুনে মনে হয় যেন তিনি কোন এক অতি আপনজনকে শোনাচ্ছেন গল্পটা। অনিতা নিজের মনেই একটু হাসলেন- মুমূর্ষু মানুষকে সঙ্গ দানের অভিজ্ঞতা তাঁর আজকের না। কিন্তু এই মানুষটা বেশ অন্যরকম, ওঁর কথা গুলোতে কোথাও মৃত্যুপথযাত্রীর অসংলগ্নতা নেই। শুনতে মন্দ লাগছিল না- গল্প বলার অভ্যেশ-টা যেন তাঁর সহজাত।
"সুকান্ত বাঙ্গালীর ছেলে হলেও হিন্দি-টা সে ভালই জানে- আসলে সাংবাদিক হতে গেলে অনেক কিছু শিখতে হয়, বুঝলে না? তা সেই ডাইরি- টা পড়ে ফেলতে তার বেশিক্ষন লাগল না। কিন্তু তাকে থমকে যেতে হল একেবারে শেষের পাতা-এ গিয়ে। ডাইরিটার এটাই শেষ পাতা, কিন্তু এই পাতার হতাক্ষর মোটেই মুক্তোর মত নয়- ছোটদের গলপ-ও নয় এটা। সংক্ষেপে বললে সেটার মানে দাঁড়ায় এইরকম- মানুষের জীবন আসলে একটা উপলক্ষ বৈ আর কিছু না। এত যে হাজারো চিন্তা ভর করে আসে আমাদের মনে, তাদের-কে রূপদান, জীবন দান-ই আমাদের ধর্ম। যদি সেগুলোকে পাত্তা না দাও, তবে মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে যাবে তারা- আর যদি জোর করে চেপে ধরে তাদেরকে বুঝতে চাও, তাহলে সেগুলো কয়েক টুকরো বাস্তব হয়েই পড়ে থাকবে। তবে যদি চিন্তা আর কল্পনা মিশিয়ে গল্প লিখতে পার, তবেই তাদের আসল কদর হয়। এই গল্প রচনাই মানুষের জীবনের আসল কৃতিত্ব। গল্প লেখা হয়ে গেলে সাহিত্যিকের জীবনের আর কোন মানে থাকে না- তার নবজীবন সেই গল্পের মধ্যে।
লেখাটা পড়ে সুকান্ত বেশ খানিকক্ষণ চুপ করে বসে থাকলো। বাস তখন প্রায় তার গন্তব্যস্থলে এসে গেছে। নামবার জন্য তৈরি হয়েও সে আর নামল না। তার মনে ততক্ষণে একটা আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে- পুরুলিয়ার গ্রামে ডাকাতির তদন্ত আজ আর তাকে দিয়ে হবে না। তাকে এখুনি কলকাতা ফিরতে হবে।
এর দিন দুয়েক পরের ঘটনা। সুকান্ত অফিসের অরিন দত্ত-কে লাঞ্চ-এর সময় বলছিল গল্পটা- অরিনদার চেনা আছে কয়েকটা পত্রিকার অফিস -এ। এর মধ্যেই ডাইরি-টা নিয়ে কয়েক পাতা লিখে ফেলেছে সে- গল্পটা যদি কোন ভাবে ছেপে বের হয়, তবে মন্দ হয় না। অরিন-দাও খুব খুশি হয়েছিলেন গল্প-টা শুনে। সব কিছুই ঠিক ঠাক ছিল, কিন্তু বাদ সাধল ভাগ্য- সেইদিন বিকেলে বাড়ি ফিরবার পথেই একটা বাসে চাপা পরল সুকান্ত।
অফিসের সবাই ভালবাসত তাকে; হাসিখুশি স্বভাবের ছেলে সুকান্ত- সকলেই বাস্তবিক শোকাহত হয়েছিল তার মৃত্যুতে। অরিন দত্ত-র কিন্তু হঠাৎ মনে হল, যদি কোন ভাবে সুকান্তর গল্পটা ছাপা যায়- তাহলে মানুষের মধ্যে তার একটা অংশ নবজীবন লাভ করবে। কোথাও না কোথাও সৃষ্টির মধ্যে বেচে থাকবে স্রষ্টা।
আর কদিন পরেই দুর্গাপূজা। পূজাবার্ষিকীতে ছোটদের গল্প অংশে একটা গল্প ছেপে বের করে ফেলা কোন ব্যাপার নয় তার কাছে। অরিন দত্ত কথাটা ভুল ভাবেনি- তার পরিচিতির জোর সে বিলক্ষন জানতো। তবে পঞ্চমীর দিনে হাওড়া থেকে ছাড়া বোম্বে মেলের দুটো কামরা যে বেলাইন হয়ে যাবে, তা বোধহয় সে জানত না। নইলে কি আর সে ওই কামরা-র টিকেট কাটে?"
অনেকক্ষণ একটানা কথা বলে চুপ করলেন বৃদ্ধ। নার্স হিসেবে অনিতার অভিজ্ঞতা প্রচুর, কিন্তু আজ এই প্রায়ন্ধকার হাসপাতালের ঘরে বসে কথাগুলো শুনতে গিয়ে তাঁর ও যেন শিরদারা বেয়ে একটা হিমেল অনুভুতি নেমে গেল। কোনরকমে মনের ভাব চেপে তিনি আলতো করে বললেন- "তা বেশ গল্প বলেন তো আপনি! একটু লিখতে পারেন তো?"
খানিকক্ষণ বৃদ্ধ কোন কথা বললেন না, তারপর জরিয়ে আসা গলা-এ উত্তর এল,"তা কেমন করে হয় নার্স, আমার যে জীবনে কত কিছু করার আছে। সেসব না সেরে কি আর নবজীবন লাভ করা যায়?"
তারপরে আরও অনেকক্ষণ কেটে গেচ্ছে। ডক্টর মিত্র রাউনডে এসে দেখলেন বৃদ্ধর চোখ দুটো বোজা, হৃদপিণ্ডের গতি স্তব্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে। বেডের পাশে টেবিলে রাখা একটা টেপ রেকর্ডার তুলে নিলেন ডক্টর মিত্র। এটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছেলেদের দেওয়া, যারা ওনাকে নিয়ে এসেছিলো। রাস্তার মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পরেছিলেন উনি, আশেপাশের কেউ চেনেও না ওনাকে। তাই অন্তত একটা আত্মপরিচয় যদি রেকর্ড করা সম্ভব হয়, সেই জন্যই যন্ত্রটা।
ডাক্তার মিত্র সব-ই শুনেছিলেন অনিতার কাছে, শুনে বেশ অবাকই হয়েছিলেন। আর তখনি অনিতাকে বলেছিলেন, টেপ রেকর্ডার-টা উনি নিজের কাছেই আপাতত রাখতে চান। মুমূর্ষু মানুষের মুখে এই জাতীয় কোন কথা শোনার অভিজ্ঞতা তাঁর-ও এই প্রথম। এছাড়া আরও একটা কারণ আছে, সেটা উনি অনিতা-কে বলেননি।
আসলে মেডিকেল কলেজে পরবার সময় থেকেই তিনি লিখতে ভালবাসেন, কিন্তু প্রায়শই কাজের চাপে সেটা আর হয়ে ওঠে না। আজ গল্পটা শোনার পর থেকেই ডাক্তারবাবুর মনে হচ্ছে, দেখাই যাক না একবার চেষ্টা করে। এমন একটা প্লট কি আর বারবার পাওয়া যায়?
Monday, May 7, 2012
Drishyo-gulo
Eta ekta shopney dekha. Drishyota onekta jeno goto jonmer, kimba hoyto onagoto bhobishyoter. Kintu jani na thik keno, drishyota amar kacche khub porishkar.
Prothom drishyo ekta taxi-r modhye. Ami ekta bridge-ey uthhchhi, ar shamney suryoday hocche. amar mon-e poripurno asha.
Dwitiyo drishyota ekta rail station-er. ami shekhane darie. Pray shokal 6-ta hobe. Ami train-er jonyo opekhshay- Kothao ekta jabo. Money udyom, chokhe shei, abar kicchu ekta asha.
Tritio drishyota kintu besh onyorokom. Ami jani na eta ba egulo ki kore amar mone ashe, kintu egulo-ke ami dekhte pai. Bhobishyot bokta ami noi, nahole ajker dine khobore kagoj-e kerani giri kortam na. Jatismar-o noi, kintu ei drishyogulo kotha theke jeno amar mone basha bedhe acche.
Jak, ja bolchhilam, Trityo drishyota ektu onyorokom. Ami boshe acchi ekta purono, bhangachora karkhana-e. Bojha jacche je ekhane ajkal keu khub ekta ashe na, lota-gulmo khub-i berecche. Sreehin, ekta poribesh, bhogno dosha tar. Bairer dike takie boshe acchi ami. Shamnei ekta proshosto dorja, tar modhye die dekhte pacchi ekta bikel. Surjer alo more ashchhe, baire jonomanob nei. Khali ami eka shei bhognostup-er modhe boshe acchi. Chari dike onek jontrangsho chorie acche, jeno shopner ekta gudamghor. Gudom-e ki thake? Onek kaler purono jinish, jegulo ekshomoy joruri chhilo, gurutyopurno chhilo, kintu ekhon tader ar kono chahida nei. Tara ekhon okaronei jayga nie bose thake, ar shujog pelei shei shomoyer smiriti money korie dey je gulo amra pichhone phele jete chai. Ei jontro-gulo bodh hoy sherokom-i.
Ekshomoy ei gulo onek manusher shopno hoe chhilo, onek manusher onek boro ekta ashar rupok chhilo era. Ar shei ashar moddhey jonmo nito aro onek chhoto chhoto shopno. Manusher shopnio, doinondin jibon japon, chhoto chhoto nana shopno. Ajke shei bishal shopno humri kheye porechhe ei purono gudom ghore, ar ei ondhokar bari-tar kone, alo chhaya-r modhye shei onek kaler purono chhoto chhoto shopno gulo lukie acche. Jokhon erom kono ekta din-er sheshe boshe thaki ekhane, money hoy tara berie ascche. Lukie thaka shei shopno-gulo amake ghire dhore tader golpo bolte chaichhe. "Jano, amar baba bolecche ebar maine hole amake ekta notun juto kine debe!", "Amar chhele eibar pash diecche. Bhari bhalo chhele, or chakri-ta hoe gele ma shitala-ke pach poyshar bhog debo bolecchi." "Amar borer chakri-ta ar nei. Karkhana-ta jodi khole tahole ontoto ekta kaj ki ar hobe na? Koto lok-i toh more heje gelo, tader kaj-gulo ar kauke to kortei hobe. Aha, ei ashwin-e jodi karkhana khole, bablu-ke ekta notun jama kine debo."
Koto Golpo. Golper jeno shesh nei. Othocho eigulo amar golpo noy. Ma kali-r dibyi kheye bolcchi, emon golpo likhte parle ki ar kerani hoye thaktam? Ekebare reporter hoe jetam, ar ekta second hand scooter kintam. Amar ma bolto, amar naki ucchasha nei; kintu bishwash korun, ami onek boro hote chai, khub chai, ekhono chai. Kintu ei chinta gulo je kokhon moner modhye chole ashe, tai boshe boshe bhabi. Tai bodh hoy jibon-e kicchu kora hoe uthhlo na. Shottyi bolcchi moshay, ami jatishmor noi ar jyotishi-o noi, kintu tobuo keno je eishob drishyo dekhi, ke jane?
Prothom drishyo ekta taxi-r modhye. Ami ekta bridge-ey uthhchhi, ar shamney suryoday hocche. amar mon-e poripurno asha.
Dwitiyo drishyota ekta rail station-er. ami shekhane darie. Pray shokal 6-ta hobe. Ami train-er jonyo opekhshay- Kothao ekta jabo. Money udyom, chokhe shei, abar kicchu ekta asha.
Tritio drishyota kintu besh onyorokom. Ami jani na eta ba egulo ki kore amar mone ashe, kintu egulo-ke ami dekhte pai. Bhobishyot bokta ami noi, nahole ajker dine khobore kagoj-e kerani giri kortam na. Jatismar-o noi, kintu ei drishyogulo kotha theke jeno amar mone basha bedhe acche.
Jak, ja bolchhilam, Trityo drishyota ektu onyorokom. Ami boshe acchi ekta purono, bhangachora karkhana-e. Bojha jacche je ekhane ajkal keu khub ekta ashe na, lota-gulmo khub-i berecche. Sreehin, ekta poribesh, bhogno dosha tar. Bairer dike takie boshe acchi ami. Shamnei ekta proshosto dorja, tar modhye die dekhte pacchi ekta bikel. Surjer alo more ashchhe, baire jonomanob nei. Khali ami eka shei bhognostup-er modhe boshe acchi. Chari dike onek jontrangsho chorie acche, jeno shopner ekta gudamghor. Gudom-e ki thake? Onek kaler purono jinish, jegulo ekshomoy joruri chhilo, gurutyopurno chhilo, kintu ekhon tader ar kono chahida nei. Tara ekhon okaronei jayga nie bose thake, ar shujog pelei shei shomoyer smiriti money korie dey je gulo amra pichhone phele jete chai. Ei jontro-gulo bodh hoy sherokom-i.
Ekshomoy ei gulo onek manusher shopno hoe chhilo, onek manusher onek boro ekta ashar rupok chhilo era. Ar shei ashar moddhey jonmo nito aro onek chhoto chhoto shopno. Manusher shopnio, doinondin jibon japon, chhoto chhoto nana shopno. Ajke shei bishal shopno humri kheye porechhe ei purono gudom ghore, ar ei ondhokar bari-tar kone, alo chhaya-r modhye shei onek kaler purono chhoto chhoto shopno gulo lukie acche. Jokhon erom kono ekta din-er sheshe boshe thaki ekhane, money hoy tara berie ascche. Lukie thaka shei shopno-gulo amake ghire dhore tader golpo bolte chaichhe. "Jano, amar baba bolecche ebar maine hole amake ekta notun juto kine debe!", "Amar chhele eibar pash diecche. Bhari bhalo chhele, or chakri-ta hoe gele ma shitala-ke pach poyshar bhog debo bolecchi." "Amar borer chakri-ta ar nei. Karkhana-ta jodi khole tahole ontoto ekta kaj ki ar hobe na? Koto lok-i toh more heje gelo, tader kaj-gulo ar kauke to kortei hobe. Aha, ei ashwin-e jodi karkhana khole, bablu-ke ekta notun jama kine debo."
Koto Golpo. Golper jeno shesh nei. Othocho eigulo amar golpo noy. Ma kali-r dibyi kheye bolcchi, emon golpo likhte parle ki ar kerani hoye thaktam? Ekebare reporter hoe jetam, ar ekta second hand scooter kintam. Amar ma bolto, amar naki ucchasha nei; kintu bishwash korun, ami onek boro hote chai, khub chai, ekhono chai. Kintu ei chinta gulo je kokhon moner modhye chole ashe, tai boshe boshe bhabi. Tai bodh hoy jibon-e kicchu kora hoe uthhlo na. Shottyi bolcchi moshay, ami jatishmor noi ar jyotishi-o noi, kintu tobuo keno je eishob drishyo dekhi, ke jane?
Subscribe to:
Posts (Atom)